ভুল উচ্চারণে দরূদ পাঠ : সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর ওনেক আসে


ভুল উচ্চারণে দরূদ পাঠ : সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

সালামু দুলাই আলাইকা

দরূদ শরীফ অত্যন্ত বরকতপূর্ণ আমল। দুআর বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে দরূদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ হিসেবে তা আল্লাহ তাআলার ইবাদত। দ্বিতীয়ত এর সম্পর্ক রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে, যাঁর হক মুসলমানদের উপর তাদের প্রাণের চেয়েও বেশি এবং যিনি আল্লাহ তাআলার পরে আল্লাহর বান্দাদের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহকারী। দরূদের মাধ্যমে তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে দুআ করা হয়। তাই এই আমল অত্যন্ত ভক্তি ও অনুরাগের সাথে আদায় করা উচিত। সহীহ-শুদ্ধভাবে আদায় করা উচিত।

নামাযে পঠিত দরূদে ইবরাহীমীর পর ছোট দরূদ হিসেবে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ দরূদটিই সবচেয়ে বেশি লেখা ও পাঠ করা হয়। কিন্তু অনেক মানুষকেই দেখা যায়, এই ছোট্ট দরূদটির প্রথম অংশ

صلى الله    সাল্লাল্লাহু (প্রথম লাম-এ যবর) কে সাল্লেল্লাহু (প্রথম ল্ল- তে এ-কার দিয়ে অর্থাৎ প্রথম লামে যের দিয়ে) পড়ে থাকেন, যা সম্পূর্ণ ভুল।

আর আমাদের দেশের প্রচলিত মীলাদ মাহফিলে সুর করে সম্মিলিতভাবে যে দরূদ ও সালাম পাঠ করা হয় সে ক্ষেত্রে তো দরূদ শরীফকে বড়ই মাজলুম বানানো হয়।

এভাবে সুর করে সম্মিলিতভাবে দরূদ পাঠ করা কী তা এখনকার আলোচনার বিষয় নয়। এখনকার আলোচ্য বিষয় হল, সেক্ষেত্রে দরূদ ও সালামের শব্দাবলির উচ্চারণের যে বেহাল দশা হয় সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

সেখানে জনসাধারণ

يا نبي سلام عليك

‘ইয়া নাবী সালামুন আলাইকা’ এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-ইয়া নাবী সালাই মালাইকা। তারপর

صلوات الله عليك

সালাওয়া-তুল্লাহি আলাইকা এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-‘সালামু দুলাই আলাইকা’। তারপর

وعلى آل سيدنا

(ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা) এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-অলাই আলে সায়্যেদিনা’ ইত্যাদি। এগুলো নিছক উচ্চারণের ভুল নয়; বরং অমার্জনীয় বিকৃতি, যা থেকে বেঁচে থাকা ফরয। দরূদের মতো বরকত ও ফযীলতপূর্ণ আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহ আমাদের আরো সচেতন হওয়ার এবং সহীহ-শুদ্ধভাবে সঠিক পন্থায় বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার তাওফীক দিন। আমীন।

একটি ভুল ধারণা : জুমার আগের বাংলা বয়ানকে খুতবা মনে করা

জুমআর নামাযের আগে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি খুতবা দিতেন। দুই খুতবার মধ্যে অল্প সময় বসতেন এবং উভয় খুতবা হত আরবী ভাষায়। দুই খুতবা আরবী ভাষায় হওয়া সুন্নত (মুয়াক্কাদাহ)। হাদীস শরীফ দ্বারা তা-ই প্রমাণিত। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন এবং গোটা মুসলিম উম্মাহ সর্বযুগে এ অনুযায়ী আমল করেছেন। এজন্য এ নিয়মের খুতবাকে খুতবায়ে মাসনূনাহ বলে।

একটি ভুল ধারণা : ভাত পড়লে তুলে না খেলে কি তা কবরে বিচ্ছু হয়ে কামড়াবে?

ছোট শিশু নিজ হাতে খেতে গেলে অনেক ভাত পড়ে। তখন সে ভাতগুলো তুলে খাওয়ার জন্য অনেকেই বলে থাকেন-পড়ে যাওয়া ভাতগুলো তুলে খাও নইলে কিন্তু এগুলো কবরে বিচ্ছু হয়ে কামড়াবে।

 

ছোটদেরকে এজাতীয় বিষয়ে সতর্ক করা ও উৎসাহ দেওয়া প্রসংশনীয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে অমূলক কথা বলা কখনোই সমিচীন নয়।

 

হাদীসে এ বিষয়ে যে নির্দেশনা এসেছে সেটাই ছোটদের সামনে পেশ করা উচিত।

হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খানা খেতেন তখন আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, খাদ্য পড়ে গেলে তা থেকে ময়লা দূর করে খেয়ে নাও এবং তা শয়তানের জন্য রেখে দিও না। তিনি আমাদের পাত্র চেটে খাওয়ার আদেশ করতেন এবং বলতেন, তোমাদের তো জানা নেই খাদ্যের কোন্ অংশে বরকত রয়েছে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৩৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৪৭; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫২৪৯)  

আর জুমার দিন যেহতেু মসজিদে অনেক মানুষের সমাগম হয় তাই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ভাষায় কিছু দ্বীনী আলোচনা করা হয়। এটা খুতবায়ে মাসনূনাহ বলে গণ্য নয়।

কিন্তু কিছু মানুষ খুতবার আগের এই দ্বীনী আলোচনাকেও জুমার খুতবা মনে করেন। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ জুমার খুতবার কিছু স্বতন্ত্র্য আহকাম রয়েছে, যা এই খুতবারই বৈশিষ্ট্য। যেমন, খুতবা আরবী ভাষায় হওয়া, খুতবা চলাকালে কোনো প্রকার কথা বা কাজ নিষিদ্ধ হওয়া ইত্যাদি। সুতরাং জুমার খুতবার আগের বাংলা বয়ানকে যারা খুতবা মনে করেন তাদের ধারণা ঠিক নয়।

একটি ভুল ধারণা

দুআয়ে মা’ছূরা কি শুধু ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী …’

নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ শরীফের পর দুআয়ে মা’ছূরা পড়তে হয়। এখানে কোন একটি মাসনূন দুআ পড়লেই হয়। একাধিক দুআও পড়া যায়। হাদীস শরীফে এসেছে-

ثم يتخير من المسألة ما شاء

(অর্থ) অতঃপর (দরূদ পাঠের পর) যে দুআ ইচ্ছা পড়বে। (সহীহ মুসলিম,হাদীস : ৪০২)

এক্ষেত্রে বেশি প্রসিদ্ধ হল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী…’ এই দুআটি। ফলে অনেকেই মনে করেন দুআ মা’ছূরা শুধু এটিই। এটি ছাড়া এক্ষেত্রে অন্য কোন দুআ পড়লে হবে না। আসলে বিষয়টি তা নয়। বরং এক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের যে কোন দুআই পড়া যায় এবং কুরআন-হাদীসের যে কোন দুআর মাধ্যমেই এ সুন্নত আদায় হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, দুআয়ে মা’ছূর (বহুবচনে আদইয়ায়ে মা’ছূরা) শব্দের অর্থ বর্ণিত দুআ। অর্থাৎ আলকুরআনুল কারীম ও হাদীস শরীফে যেসব দুআর তালীম দেয়া হয়েছে।

হাদীস শরীফে এক্ষেত্রে পড়ার আরো দুআ বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্য থেকে একটি হল,

اللهم إني أعوذ بك من عذاب القبر وأعوذ بك من فتنة المسيح الدجال وأعوذ بك من فتنة المحيا والممات، اللهم إني أعوذ بك من المأثم والمغرم

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, দাজ্জালের ফিৎনা থেকে। আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিৎন থেকে। হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি গুনাহ ও ঋণ থেকে। (সহীহ বুখারী,হাদীস: ৮৩২; সহীহ মুসলিম,হাদীস: ৫৮৯)

আর আমাদের মাঝে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ যে দুআ তা আবু বকর রা.-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে শিখিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু বকর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আবেদন করলেন-আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা আমি নামাযে পড়ব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই দুআ কর-

اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب إلا أنت فاغفرلي مغفرة من عندك وارحمني إنك أنت الغفور الرحيم

 

অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহ মাফকারী আর কেউ নেই। আপনি নিজ অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিঃসন্দেহে আপনিই ক্ষমাকারী, করুণাময়।

(সহীহ বুখারী,হাদীস: ৮৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৭০৫)

চেয়ারে বসে নামায আদায় করা কি ইচ্ছাধীন বিষয়?

কিছুদিন যাবৎ মহল্লার মসজিদের এক মুসল্লীকে দেখছি যখন তিনি সহজে চেয়ার পান তখন চেয়ারে বসে নামায আদায় করেন। আর পরে আসলে বা চেয়ার না পেলে দাঁড়িয়েই নামায আদায় করেন।

মসজিদগুলোতে চেয়ারের প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় কিছু মানুষ হয়ত মনে করেন যে, চেয়ারে বসে নামায আদায় করাটা ইচ্ছাধীন। কোন্ ধরণের ওযর হলে চেয়ারে বসে নামায আদায় করা জায়েয, কোন্ ক্ষেত্রে নামায সহীহ হয় না বা মাকরূহ হয়। কোন্ ক্ষেত্রে চেয়ারে না বসে যমীনে বসে নামায আদায় করতে হয়-এসব বিষয়ে যে শরীয়তের সতন্ত্র বিধান রয়েছে তা মনে হয় এদের জানাই নেই ।

যাদের এ ধরণের ওযর আছে তাদের উচিত নিজ নিজ অবস্থা কোন বিজ্ঞ আলেমের কাছে পেশ করা এবং সঠিকভাবে মাসআলা জেনে আমল করা। সামান্য ব্যাথা হল বা একটু কষ্ট অনুভব হল অমনি নিজ থেকে চেয়ারে বসে নামায আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম আর আমার খবরও নেই যে আমার নামায হচ্ছে না।

এ বিষয়ে মৌলিক কথা হল, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প পদ্ধতি হল, জমিনে বসে তা আদায় করা। আর যে রুকু সিজদা করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প পন্থা হল, ইশারায় তা আদায় করা। আর যে ব্যক্তি যমিনে বসে নামায আদায় করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প হল, চেয়ারে বসে নামায আদায় করা। কেবলমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় ওযরের কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করা ঠিক নয়।

সুতরাং আমাদের উচিত এ বিষয় এবং এজাতীয় যে কোন বিষয়ে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হওয়া।

ডানে শুভলক্ষণ বামে কুলক্ষণ

অনেকে সকালবেলা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পাখি দেখলে ঢিল মারে। এখন পাখিটি যদি ডানে যায় তাহলে মনে করে যাত্রা শুভ। আর যদি পাখিটি বামে যায় তাহলে কুলক্ষণ; যাত্রা আশুভ।

এটি একটি অমূলক ধারণা, যার কোন ভিত্তি নেই। কল্যাণ অকল্যাণ, লাভ ক্ষতি সব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। এর সাথে পাখির কী সম্পর্ক?! আল্লাহ চাইলে আমার কল্যাণ হবে নইলে নয়।

আর কুলক্ষণের এ মানসিকতাকে ইসলাম কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘেষিত হয়েছে

لا عدو ولا طيرة ولا هامة ولا صفر

অর্থাৎ রোগ লেগে যাওয়া, কুলক্ষণ, পেঁচা ও সফর-এর কোন বাস্তবতা নেই। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৭০৭)

এছাড়া অমূলক ধারণার ভিত্তিতে সকাল বেলা খামোখা নিজের কাজের মনোবল নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

সুতরাং এমন অমূলক ধারণা পরিত্যাগ করা প্রতিটি মুমিনের অবশ্যকর্তব্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। 

নামের ভুল উচ্চারণ : প্রসিদ্ধ কয়েকজন মুহাদ্দীসের নামের ভুল উচ্চারণ

হাদীসের প্রসিদ্ধ কয়েকজন ইমামের নাম উচ্চারণ করতে বা লিখতে অনেকেই ভুল  করেন, এর মধ্যে কয়েকটি গত সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে এ সংখ্যায়ও অনুরূপ আরো কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।

 

১. ইমাম দারিমী রাহ.

তাঁর পূর্ণ নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ফযল ইবনে বাহরাম ইবনে আব্দুস সামাদ আদ দারিমী (১৮১-২৫৫হি.)। তিনি হাদীসের একজন বড় ইমাম ছিলেন। তাঁর সংকলিত হাদীসের কিতাব সুনানে দারিমীর নাম আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। তিনি সমরকন্দের অধিবাসী ছিলেন ফলে তাঁকে সমরকান্দীও বলা হয়। আর বনু দারিম-এর দিকে সম্পৃক্ত করে তাঁকে দারিমী বলা হয়। কিন্তু অনেকেই তাঁর নাম বলতে গিয়ে দারিমী (রা-এর মধ্যে যের) এর পরিবর্তে দারামী (রা-এর মধ্যে যবর দিয়ে) বলেন বা লিখে থাকেন যা একেবারেই ভুল। সঠিক উচ্চারণ দারিমী। বাংলায় সর্বোচ্চ দারেমী (র-তে এ-কার দিয়ে) বলা যায়।

তিনি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মুহাদ্দীসের নাম রয়েছে দারিমী তাঁদের নামের ক্ষেত্রেও একই কথা।-আল আনসাব, সামআনী ২/৪৪০, তাহযীবুল কামাল ১০/২৮৩-২৮৭

 

২. ইকরিমা

এ নামে বেশ কয়েকজন সাহাবী ও মুহাদ্দীস রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন, ইকরিমা ইবনে আবু জাহল রা. এবং ইকরিমা মাওলা ইবনে আববাস রাহ.। তাঁদের নাম বলতে বা লিখতে গিয়েও কেউ কেউ ইকরিমা (রা-এর মধ্যে যের) এর স্থলে ইকরামা (রা-এর মধ্যে যবর দিয়ে) বলে থাকেন যা সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক হল, ইকরিমা (রা-এর মধ্যে যের)

 

৩. ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন রহ.

 

তাঁর পূর্ণ নাম ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন ইবনে আওন ইবনে যিয়াদ ইবনে বিসতাম ইবনে আব্দুর রহমান (১৫৮-২৩৩ হি.)। তিনি হাদীস শাস্ত্রের একজন বড় ইমাম ছিলেন। হাদীস অধ্যয়নকারী তালিবুল ইলম মাত্রই তাঁর নাম জানেন। কিন্তু অনেকেই তাঁর নাম বলতে গিয়ে নামের দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ পিতার নামের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। তাঁর পিতার নাম হলো মায়ীন অর্থাৎ মী- মে যবর। কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন মুয়ীন (মী- মে পেশ দিয়ে) যা সম্পূর্ণ ভুল।স

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.