কতগুলো নামাযী হলে জামাআত হবে? মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে?


কতগুলো নামাযী হলে জামাআত হবে?

ইমাম ছাড়া কম পক্ষে একটি নামাযী হলে জামাআত গঠিত হবে; চাহে সে নামাযী জ্ঞানসম্পন্ন শিশু হোক অথবা মহিলা।

মহানবী (সাঃ) ইবনে আব্বাসকে নিয়ে জামাআত করে (তাহাজ্জুদ) নামায পড়েছেন। (বুখারী, মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, আসু:) তিনি সফরে উদ্যত দুইজন লোককে বলেছিলেন, “নামাযের সময় উপস্থিত হলে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।” (বুখারী ৬৩০নং, মুসলিম, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান)

মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে

মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে বা জামাআত শেষ হওয়ার পর মসজিদে এলে যদি অন্য লোক থাকে তাহলে তাদের সাথে মিলে একজন ইমাম হয়ে জামাআত করে নামায পড়বে।

যদি আর কোন লোকের উপস্থিতির আশা না থাকে, তাহলে অন্য মসজিদে জামাআত না হওয়ার ধারণা পাকা হলে সেখানে গিয়ে জামাআতে নামায পড়বে।

তা না হলে মসজিদে একাকী নামায পড়ার চাইতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে জামাআত করে নামায পড়া উত্তম। মহানবী (সাঃ) এরুপ করেছেন বলে প্রমাণ আছে। (তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ১৫৫পৃ:, সালাতুল জামাআতি হুকমুহা অআহকামুহা, ডক্টর সালেহ সাদলান ৫৬পৃ:) অবশ্য বাড়িতে জামাআত করার মত লোক না থাকলে ফরয নামায বাড়ির চেয়ে মসজিদে পড়াই উত্তম। কারণ, নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার পৃথক বৈশিষ্ট্য আছে এবং ফরয নামায মসজিদে পড়ার আদেশ আছে।