ফেইসবুক বেবহার করা ইবাদত নাকি বিদাআত?


**ফেসবুক ব্যবহার করা কি ইবাদত
নাকি বেদা’আত**
আমরা অসংখ্য
ভাইয়েরা ফেসবুকে দাওয়াতের কাজ
করছি, আর এই দাওয়াতের কাজ
নিয়ে রয়েছে অসংখ্য মতবেদ।কেউ
বলছে ”ফেসবুকে দাওয়াতের কাজ
একটা বেদা’আত” আবার কেউ
বলছে ”না না এটাও একটা ইবাদত”!!!!
আসুন দেখি ফেসবুক ব্যবহার
করা কি আসলেই কি ইবাদত?
নাকি এটি একটি বেদা’আত?
প্রথমে মনে রাখতে হবে ”সমস্ত আমল
নিয়তের উপর নির্ভশীল যে কোন
ব্যক্তি যে উদ্দেশেই আমল বা কাজ
করবে তার ঐ আমল সেই উদ্দেশেই
পরিগণিত হবে যে উদ্দেশে সে আমল
করেছে” (বুখারী)
এখন আবার কেউ এটা মনে করে বসবেন
না যে খারাপ কাজ ভাল
উদ্দেশে করে নিলেও আমার সওয়াব
হবে বা ইবাদত হবে। বরং খারাপ কাজ
ভাল নিয়তে করলে সওয়াবের
পরিবর্তে গুনাহ্ই
হবে বেশি এবং ইচ্ছাকিত
ভাবে খারাপ
কাজকে ইবাদত বলে মনে করলে ঈমান
হারাবার সম্বাবনা ১১০%।
মূল বিষয়ে আসাযাকঃ রাসূল (সঃ)
বলেছেনঃ ”পৌঁছে দাও যদিও
তা একটা আয়াত হয়”
আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ”হে রাসূল!
প্রচার করুণ আপনার রবের
পক্ষথেকে যা কিছু আপনার
প্রতি নাজিল
করা হয়েছে”,যদি (যা কিছু নাজিল
করা হয়েছে তা প্রচার) না করেন
তবে তো (এটাই প্রমাণিত হবে)
আপনি তাঁর বার্তা প্রচার করলেন না।
আল্লাহ্ আপনাকে মানুষ
হতে রক্ষা করবেন; বস্তুত আল্লাহ্
অবিশ্বাসীদের সৎ পথে পরিচালিত
করেন না। (মায়েদা- ৬৭)
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই দ্বীনের
মাঝে নতুন কোন (আমল) বেদা’আত
প্রবেশ
করাবে, সে আমার উম্মত নয়।
(বুখারী-২৫৫০)
*) এখন প্রশ্ন হলঃ বেদা’আত
কাকে বলে?
উত্তরঃ ইবাদতের উদ্দেশে সওয়াবের
নিয়তে সে সকল নতুন-নতুন আমল
বা কাজ
সম্পাদন করা হয় তাকে বেদা’আত
বলে।
*) কখন একটি কাজ বা আমল
বেদা’আতে পরিণত হয়?
উত্তরঃ এমন কোন কাজ বা আমল
করা যাতে সওয়াবের নিয়ত
থাকে অথচ
তা কুরাআন ও সহীহ হাদীসের
দারা প্রমাণিত নয় এমন যে কোন আমল-

বেদা’আতে পরিণত হয়ে যায়।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক
বেদা’আতই
গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা আর
প্রত্যেক পথভ্রষ্টতার নিশ্চিত পরিণাম
হচ্ছে জাহান্নাম। (সহীহ
ইবনে খুজাইমান ১৭৮৫)
****এখন কিছু জাহেল লোক লাফ
দিয়ে উঠে বলে বসবে ( বাস্তব
অভিজ্ঞতা থেকে বলছি):হাঁ।
তাহলে যে মানুষ মাইকে আযান দেয়,
খুতবাহ্ বা ওয়াজ মাহফিলে মাইক,
লাউড় স্পীকার ব্যবহার করে, TV-
INTERNET এ দ্বীন প্রচার করছে,
হজ্জে যাওয়ার সময় বিমান ব্যবহার
করে, গাড়ীতে ছড়ে, বাংলায়
কথা বলে,
এ গুলোতো আল্লাহ্ কুরআনে বলেননি,
রাসূল (সঃ) ও
করেননি করতে বলেননি তাহলে কি এসব
কিছু বেদা’আত নয়? যারা এসব
করছে তারা কি পথভ্রষ্ট হয়ে যায়নি?
তারা কি জাহান্নামের
দিকে যাচ্ছে না? ইত্যাদি-ইত্যাদি
***তাহলে আমি তাকে বলবোঃ জি ভাইজান!
কেউ যদি এসব কিছু আল্লাহ্র হুকুম
মনে করে করে বা রাসূল (সঃ) এর
সুন্নাহ্ মনে করে আমল
করে এবং এতে সওয়াবের
আশা রাখে তাহলে তারা অবশ্যই
বেদাআতে লিপ্ত আছে এবং রাসূল
(সঃ)
এর বানী অনুযায়ী তারা পথভ্রষ্ট।
কিন্তু যারা মাইক,স্পীকার, টিভি-
ইন্টারনেট, বিমান,
গাড়ী,বাংলা ভাষা ইত্যাদি ব্যবহারকে ফরয
বা সুন্নাহ্ মনে করে না ইবাদতের
আকারে সওয়াবের আসায় ব্যবহার
করে না তারা বেদাআতে লিপ্ত নয়
বরং আপনার বুঝার ভুল।
এখন আমার প্রশ্ন আপনাদের প্রতিঃ ১)
আপনারা কি ফেসবুক-কে আল্লাহ্র হুকুম
মনে করে করেন?২) নাকি রাসূল (সঃ)
এর সুন্নাহ্ মনে করে করেন?
৩)নাকি ফেসবুক শুদু এইজন্য ব্যবহার
করেন
যাতে মাইক,স্পীকার,বিমান,গাড়ীর
মত
একটা মাধ্যম মনে করে করেন
যাতে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল (সঃ) এর
বানী মানুষের নিকট প্রচার
করতে পারেন?
বা পৌঁছে দিতে পারেন?
এবং এসব মাধ্যম গুলোকে ইবাদত
মনে করেন না এবং সওয়াবের আশাও
করেন না।
***কোনটা?যদি আপনার উত্তর হয় ১
ফরয মনে করেন এবং ২ রাসুল (সঃ)
সুন্নাহ্ মনে করেন
তাহলে মনে রাখবেন
আপনি বেদাআতে লিপ্ত আছেন।
(এখনি তাওবাহ করুণ)
আর যদি আপনার উত্তর হয় ৩
তাহলে আপনি বেদাআতে লিপ্ত নয়
বরং দাওয়াতের কাজের মত উত্তম
একটি ইবাদতের মধ্যে আছেন। (আল্লাহ্
তা’আলা আপনার আমার সকল ভাল
কাজ
গুলো কবুল করুণ । আমীন।)
”পড়া শেষে আপনার মতামত
জানাতে পারেন”

One response to “ফেইসবুক বেবহার করা ইবাদত নাকি বিদাআত?

  1. আপনার ৩ নং উওরের আলোকে ঃ আপনি যে উওর দিয়েছেন তাতে আপনি বলেছেন যে উক্ত দাওয়াতের কাজে সাওয়াব হবেনা এবং এটিকে আপনি উত্তম একটি ইবাদত বলেছেন।এখন আমার প্রশ্ন হল যদি এই ইবাদতের জন্য সাওয়াব নাই হয় তবে আমরা কেন এটি করব? ইবাদত করতে সাওয়াব হবে না এটি কেমন কথা। দয়া করে বুঝিয়ে বলুন।

    Like

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.