কোন কারনবশতঃ হজ্জের কুরবানী দিতে না পারলে হাজী কি করবে?


কোন কারনবশতঃ হজ্জের কুরবানী দিতে না পারলে হাজী কি করবে?

কোন কারনবশতঃ হজ্জের কুরবানী দিতে না পারলে ১০ টি রোযা রাখবে। ৩ টি হজ্জে, আরাফার দিনের পূর্বে রেখে নেবে এবং বাকী ৭ টি দেশে ফিরে রাখবে। আরাফার দিন রোযা রাখবে না। ৩৮১ (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৩৮ পৃঃ) হজ্জের মধ্যে ঐ তিনটি রোযা তাশরীকের দিনগুলোতে ১১, ১২, ১৩ তারিখেও রাখতে পারে। আর এটা ঐ দিনগুলিতে রোযা রাখা নিষিদ্ধ আইনের ব্যতিক্রম। তবে আরাফার দিনের পুবেই রোযা রেখে নেওয়া উত্তম; যদি তাঁর পূর্ব থেকেই জানা যায় যে, সে কুরবানী দিতে পারবে না। ৩৮২ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৯৫-২৯৬)

মক্কাবাসী হাজীদের জন্য ঐ কুরবানী নেই। মহান আল্লাহ বলেছেন, “অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরাহ দ্বারা লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে। কিন্তু যদি কেউ কুরবানী না পায় (বা দিতে অক্ষম হয়), তাহলে তাকে হজ্জের সময় তিন দিন এবং গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর সাত দিন— এই পূর্ণ দশ দিন রোযা পালন করতে হবে। এই নিয়ম সেই ব্যক্তির জন্য, যার পরিবার পরিজন পবিত্র কা’বার নিকটে (মক্কায়)বাস করে না।” (বাকারাহঃ ১৯৬)

প্রথম হালালের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তাহলে তাঁর হজ্জ হবে কি?

প্রথম হালালের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তাহলে তাঁর হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে। অবশ্য বাকী হজ্জের কাজ তাকে পূরণ করতে হবে এবং কাফফারা স্বরূপ একটি উট কুরবানী দিয়ে তাঁর গোশত মক্কার মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। আর ঐ বাতিল হজ্জ নফল হলেও তাকে আগামীতে নতুনভাবে পালন করতে হবে। ৩৭৮ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭২)

ইহরাম অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকাকালে স্বপ্নদোষ হলে কোন ক্ষতি হয় কি?

স্বপ্নদোষে বীর্যপাত ঘটলে হজ্জ বা উমরার কোন ক্ষতি হয় না। যেহেতু তা নিজের এখতিয়ারভুক্ত নয়। ৩৭৯ (ঐ ২/২৩৩-২৩৪)