আসলে বিবাহ কখন করা উত্তম ?


আসলে বিয়ে কখন করা উত্তম?

বিয়ে যখন করা সম্ভব তখন করাই উত্তম। কিন্তু তা করা

হয়ে ওঠে না কিছু কারনে।

আমি এখনো ছোট, বিয়ের বয়স হয়নি, আর এই

বয়সে বিয়ে করলে মানুষ বলবে কি!…বয়স ছোট

হলেও সে বুঝতে শিখেছে সবই। এই অবস্থায়

তার দ্বারা যদি পাপে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে তবে

তার জন্য বিয়ে করা ফরয। যেহেতু পাপ থেকে

বেচে থাকা ফরয। এই ক্ষেত্রে বাবা-মা চাইলে

ছেলেকে বিয়ে দিতে পারেন। যদি তারা

আল্লাহ্কে এবং পরকালের হিসাবের ভয় করেন এবং

ছেলেকে ফিতনা থেকে মুক্ত রাখতে চান।

পড়াশুনা শেষ হয়নি, প্রেম চলছে একের পর এক।

বিভিন্ন মেয়ে সম্পর্কে জানা হচ্ছে, বুঝতে সুবিধা

হচ্ছে কার সাথে আমার জীবন ভাল কাটবে!…

একের পর এক প্রেম চলছে, যা বড় একটি ফিতনার

কারণ। আর একজন মুসলিম বিয়ের আগে প্রেম

করতে পারে না। কেননা এতে করে সে

পৃথিবীতে কাঁদবে এবং পরকালেও কাঁদবে। কেননা

এরূপ গুপ্ত প্রেম ইসলাম কখনই সমর্থন করে না।

ডিগ্রি, মাস্টার্স, ডক্টরেটের পড়াশুনা চলছে বিয়ে

করতে পারছি না। প্রেম চলছে, পড়াশুনাও চলছে

এরূপ অবস্থা হলে অবশ্যই বিয়ে করা ফরয। বাবা-

মায়ের এর জন্য অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত।

কেননা এর দ্বারা ছেলে যদি যেনার দিকে পা বাড়ায়

তবে সে তার ঈমান হারাবে।

আল্লাহ্ কুরআনে বলছেন,

ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻲ ﻟَﺎ ﻳَﻨﻜِﺢُ ﺇِﻟَّﺎ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔً ﺃَﻭْ ﻣُﺸْﺮِﻛَﺔً ﻭَﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔُ ﻟَﺎ ﻳَﻨﻜِﺤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ

ﺯَﺍﻥٍ ﺃَﻭْ ﻣُﺸْﺮِﻙٌ ۚ ﻭَﺣُﺮِّﻡَ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ

ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা

মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে

কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে

এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা

হয়েছে…[সূরা ২৪, আয়াত ৩]

ব্যভিচারিকে আল্লাহ্ মুশরিকের সাথে তুলনা

করেছেন, অর্থাৎ ব্যভিচারি ব্যক্তি মুশরিকে পরিণত

হয়। তার মধ্যে ঈমানের অবশিষ্ট থাকে না। এ

অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে আজীবন জাহান্নাম

অবধারিত। পরকালের জন্য বিষয়টি অনেক গুরুতর,

যদিও পৃথিবীতে মানুষ এর গুরুত্ব দেয় না বললেই

চলে।

ভাল চাকুরী করি না, বিয়ে কিভাবে করব!…ভাল চাকুরী

পাওয়া হয় না, বিয়ে করাও হয় না। আর বয়স দিন-দিন

বেরেই যাচ্ছে। ফিতনার সম্মুখীন হচ্ছে বারে-

বারেই। এই পরিস্থিতিতে নিজের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা

কমিয়ে, সাধারণ একটি মেয়েকে বিয়ে করাই

হচ্ছে উত্তম কাজ। কেননা যে মেয়ে একজন

ছেলের বর্তমান পরিস্থিকে মেনে নিয়ে সুখী

জীবন যাপন করতে পারে, সেই আদর্শ নারী।

বিদেশে থাকি ডেটিং করি, ক্লাবে যাই বিয়ের কি

দরকার?…বাবা-মায়ের তাদের সন্তানের দিকে লক্ষ্য

রাখা প্রয়োজন। কেননা তারা মরণ রাস্তায় পা

বাড়িয়েছে। এরূপ অবস্থান থেকে ছেলেকে

ফিরিয়ে আনা তাদের কর্তব্য। আর একজন মুসলিম

হিসেবে সেখান থেকে ফিরে আশা ফরয।

কেননা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণের পরিণতই

নিতান্তই খারাপ।

পড়াশুনার জন্য পশ্চিমা দেশে গিয়েছি, পাঁচ ওয়াক্ত

সলাত আদায় করি, বিভিন্ন কারণে দেশে যেতে

পারছি না, বিয়ে করা খুব প্রয়োজন কিন্তু সম্ভব

হচ্ছে না। ছোট বস্ত্রাবৃত মেয়েদের কারণে

ফিতনার সম্মুখীন হচ্ছি!…সেই পরিবেশে থাকা

জায়েয নয় যেই পরিবেশ আপনাকে জাহান্নামের

দিকে নিয়ে যাবে। যেখানে ইসলাম মানা সহজ

সেখানে গিয়ে আদর্শ মুসলিম নারীকে যথা

শীঘ্রই বিয়ে করাই হচ্ছে উত্তম কাজ।

বিয়ে করলে আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির রিযিক বারিয়ে

দেন। অর্থাৎ বিয়ের ফলে মানুষের রিযিক বারে।

কিন্তু আমরা মনে করি রিযিক কমে। তবে অবশ্যই

ঘরে বসে রিযিক বাড়ার আশা করলে, সফল হওয়ার

সম্ভবনা নিতান্তই ক্ষীণ।

আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করুন এই দুনিয়ায় এবং

আখেরাতে। সালাম ও দরুদ বর্ষিত হোক আমাদের

প্রিয় নবী মুহাম্মদ এর উপর, তাঁর পরিবার এবং

সাথীদের উপর।